শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (শাবিপ্রবি) এর ইন্ডাস্ট্রিয়াল এন্ড প্রডাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং (আইপিই) বিভাগের অধ্যাপক ড. রেজাউল হাসান সুমন বর্তমানে শাবিপ্রবির শিক্ষক তালিকায় একজন ফুল টাইম অধ্যাপক হিসেবে কর্মরত থাকা অবস্থায় ওমানের সুলতান কাবুস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক পদে ও কর্মরত রয়েছেন। শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের ও ওমানের সুলতান কাবুস বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইট থেকে এতথ্য জানা যায়।
ওয়েবসাইটের তথ্যমতে ২০১০ সালে তিনি শাবিপ্রবিতে আইপিই বিভাগে প্রভাষক হিসেবে যোগদান করেন।
শাবিপ্রবিতে কর্মরত থাকা অবস্থায় তিনি ১৫ দিনের শ্রান্তি বিনোদন ছুটি নিয়ে ২০২০ সালে অস্ট্রেলিয়ায় যান। ছুটি শেষে দেশে না ফিরে তিনি অস্ট্রেলিয়ার আরএমআইটি বিশ্ববিদ্যালয়ে পারমানেন্ট লেকচার হিসেবে প্রায় ২ বছর ৪ মাস চাকরি করেন। অতপর: দেশে ফিরে এসে আওয়ামী প্রভাব খাটিয়ে ২০২২ সালের জুন মাসে শাবিপ্রবিতে পুনরায় যোগদান করেন। 
জানাযায় ছুটি শেষে যথাসময়ে বিশ্ববিদ্যালয়ে যোগদান না করায় নোটিশের বদলে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসন তাকে অধ্যাপক পদে পদোন্নতি দেয়।
২০২৪ সালে তিনি ওমানে যান। সেখানে ওমানের সুলতান কাবুস বিশ্ববিদ্যালয়ে সহকারী অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। বর্তমানে তিনি ওমানের সুলতান কাবুস বিশ্ববিদ্যালয়ে কর্মরত আছেন।
সরকারী চাকুরী বিধিমালা অনুযায়ী সরকারি স্বায়ত্তশাসিত প্রতিষ্ঠানের চাকুরীজীবিগণ একই সাথে দুইটি প্রতিষ্ঠানে ফুল টাইম চাকুরী ও বেতন- ভাতা গ্রহণ করতে পারেন না। কিন্তু, প্রফেসর ডা. রেজাউল হাসান সরকারি বিধির তোয়াক্কা না করে সিলেটের শাবিপ্রবি ও ওমানের সুলতান কাবুস বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক হিসেবে বর্তমানে কর্মরত আছেন। এর ফলে শাবিপ্রবির আইপিই বিভাগের শিক্ষার্থীদের ক্ষতিগ্রস্থের পাশাপাশি দেশের সাধারণ মানুষের ট্যক্সের টাকায় সরকারি চাকুরীজীবিদের যে বেতন- ভাতা হয় সেগুলোও গচ্ছা যাচ্ছে বলে শিক্ষার্থীরা মনে করেন।
পরিচয় প্রকাশে অনিচ্ছুক শাবিপ্রবির কয়েক জন শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও প্রশাসনিক কর্মকর্তা এ বিষয়টির সত্যতা নিশ্চিতের জন্য অধিকতর খতিয়ে দেখে যথাযথ শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়ার জন্য শিক্ষা উপদেষ্টা, ভিসি ও প্রোভিসির প্রতি অনুরোধ জানিয়েছেন।